মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, ফটিকছড়ি
জন্মের জায়গা, জন্মস্থান প্রতিটির সঙ্গে মানুষের নাড়ির যোগ রয়েছে। আত্মার স্পর্শ আছে। এটা একজন মানুষ আজীবন বহন করে বেড়ায়। ফটিকছড়ি রোসাংগিরী ইউনিয়নে নিজ গ্রামের বাড়িতে জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা, তার বড় বোন সহ আরো কয়েকজন সদস্য চুপিসারে একদিন অবস্থান করে আবার পূর্ণিমা চলে যান রয়ে যান বাকি সদস্যরা। দাদা দাদিসহ মুরব্বিদের কবর জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে গ্রামে আসেন বলে জানান তার বড় বোন। বলা চলে নিরবে নিভৃতে লোকচক্ষুর অন্তরালে থেকেই ঘুরে গেলেন জন্মস্থান। এই বিষয়ে তিনি তার ভেরিফাই ফেইসবুক পেইজ “আলহামদুলিল্লাহ ” বলে কয়েকটি ছবি দিয়ে পোস্ট দেন। একেবারে স্থানীয় মিডিয়াসহ জনসাধারণ থেকে এই তথ্য গোপন রাখেন তার পরিবার। পারিবারিক নাম পূর্ণিমা না হলেও তার নাম দিলারা হানিফ রীতা যার জন্ম: ১১ জুলাই ১৯৮১ ইং ফটিকছড়ি উপজেলার রোসাংগিরী ইউনিয়নে। নামটা কেউ না চিনলেও একজন বাংলাদেশী অভিনেত্রী চলচ্চিত্র জগতের পূর্ণিমা নামে অধিক পরিচিত ।
১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ জীবন তোমার আমার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ঢাকাই চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। তারপর থেকে আর পিছনে পিরে তাকাতে হয়নি এই লাস্যময়ী তারকার। হাজরো যুবকের হৃদয় কেড়ে নেয় এই পূর্ণিমা। ২০১০ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত (ওরা আমাকে ভাল হতে দিল না) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তিনি তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। পূর্ণিমা চলচ্চিত্রের ছদ্ম নাম। আসল নাম দিলারা হানিফ রীতা। বাপ, দাদার জন্ম স্থান ফটিকছড়ির মাইজভান্ডার সংলগ্ন রোসাং গিরীর সোবহান মোল্লার বাড়ি। ৪২ বছর বয়সী এই নায়িকা এখনো কোটি যুবকের ক্রাশ। দাম্পত্য সঙ্গী হিসেবে প্রথমে আহমেদ ফাহাদ জামালকে সাথী করেন। ২০০৭ সাল থেকে সংসার করার পর ২০২১ সালে বিচ্ছেদ হয়। তারপর আশফাকুর রহমান রবিনকে জীবনসঙ্গী করেন। পূর্ণিমা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এফ আই মানিক পরিচালিত অপরাধ-নাট্যধর্মী লাল দরিয়া (২০০২), মতিউর রহমান পানু পরিচালিত প্রণয়ধর্মী মনের মাঝে তুমি (২০০৩), চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও নাট্যধর্মী সুভা, এবং এস এ হক অলিক পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হৃদয়ের কথা (২০০৬) ও আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮)। পূর্ণিমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় রিয়াজের বিপরীতে। রিয়াজের বিপরীতেই ২৫টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
Leave a Reply